ভূমিকা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অনেকের জন্য কঠিন মনে হয়। তবে কিছু সহজ পদক্ষেপেই আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। নিয়মিত রক্তের সুগার মনিটর করে ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। আসুন, সহজ কিছু উপায় জানি, যেগুলো প্রতিদিন পালন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কম কার্বোহাইড্রেট খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার রক্তের গ্লুকোজ স্থির রাখতে সাহায্য করে। শাকসবজি, বাদাম ও দানাদার খাবার নিয়মিত খান। মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা জগিং করুন। যোগব্যায়াম ও সাঁতার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যাপ্ত পানি পান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। পানি শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ দূর করে দেয়। এতে শরীরের ইনসুলিন ভালো কাজ করে।
নিয়মিত রক্তের সুগার মনিটর করুন
রক্তের সুগার নিয়মিত মনিটর করা অত্যন্ত জরুরি। এটি আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্লুকোমিটার ব্যবহার করুন। এতে আপনি জানতে পারবেন আপনার রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা।
মানসিক চাপ কমিয়ে রাখুন
মানসিক চাপ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে। চাপমুক্ত থাকতে মেডিটেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। চাপ কমালে ইনসুলিন কার্যকর হয়।
প্রয়োজনীয় ওষুধ সঠিক সময়ে নিন
চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করুন। ওষুধ সঠিকভাবে খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। কোনও ডোজ মিস না করে প্রতিদিন ওষুধ গ্রহণ করুন।
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শে থাকুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নির্ধারিত সময়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করান। চিকিৎসা এবং খাদ্যাভ্যাসের সমন্বয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
উপসংহার
ডা’য়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় কঠিন নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রতিদিনের ছোট ছোট পরিবর্তনে সুস্থতা নিশ্চিত করুন। নিয়মিত এই উপায়গুলি অনুসরণ করলে আপনি সুস্থ ও সুখী জীবনযাপন করতে পারবেন। আজই শুরু করুন!
ডা’য়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শাকসবজি এবং ফল খান।
হাঁটা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের সুস্থতা বাড়ায়।