গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম কেন গুরুত্বপূর্ণ?
গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী। এটি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম মায়ের শরীরকে শক্তিশালী করে। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, প্রসবকালীন জটিলতা কমাতে পারে। গর্ভাবস্থার সময় নিরাপদ ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি।
কীভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গর্ভাবস্থার সময় কিছু নিষেধাজ্ঞা থাকে। আপনার শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়াম বেছে নিন। হালকা ও মৃদু ব্যায়াম শুরু করুন। প্রতিদিন নিয়মিত একই সময় ব্যায়াম করুন। সময় অনুযায়ী ধীরে ধীরে ব্যায়াম বাড়ান।
নিরাপদ ব্যায়ামের ধরন
গর্ভাবস্থায় হালকা ব্যায়াম নিরাপদ। হাঁটা হলো সহজ ব্যায়াম। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। সাঁতারও খুব উপকারী। এটি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমায়। যোগ ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি দেয়। এটি শরীরকে নমনীয় করে তোলে। তবে ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
কোন ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত
গর্ভা’বস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্যায়াম করবেন না। অতিরিক্ত ঝাঁকুনির ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন। ভারী ওজন তোলা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত দৌড়ানো বা সাইক্লিং করা উচিত নয়। পেটের ওপর চাপ দেয় এমন ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
ব্যায়ামের সময় কী কী মনে রাখতে হবে?
ব্যায়াম করার সময় আরামদায়ক পোশাক পরুন। পানি পানে শরীরকে হাইড্রেট রাখুন। ব্যায়ামের মাঝে বিশ্রাম নিন। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। শরীরের সীমা বুঝে ব্যায়াম করুন। ব্যথা বা অস্বস্তি হলে ব্যায়াম বন্ধ করুন।
গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামের সুবিধা
নিয়মিত ব্যায়াম গর্ভাবস্থার জটিলতা কমায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পিঠ ও কোমরের ব্যথা দূর করে। মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ঘুমের মান উন্নত করে। প্রসবকালীন সময়কে সহজ করে তোলে।
নিরাপদ ব্যায়ামের সময়কাল
প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তবে শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। প্রতিদিনের শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ব্যায়াম পরিবর্তন করুন।
শেষ কথা
গর্ভাবস্থায় সঠিক ব্যায়াম সুস্থতা নিশ্চিত করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম মায়ের জন্য উপকারী। গর্ভাবস্থায় নিরাপদে সুস্থ থাকতে ব্যায়াম জরুরি।
হালকা যোগ, হাঁটা, এবং সাঁতার খুবই নিরাপদ।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করা ভালো।